ঈশ্বরগঞ্জে নারী পুরুষকে প্রশিক্ষণ, আধুনিক মৎস্য চাষের বিষয়ে ধারণা, প্রদর্শনী খামার, জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত,মাছের রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে মাছ চাষ। বাঙালীর খাদ্য তালিকায় মাছ অন্যতম। আমাদের খাদ্যের আমিষের যোগানের পাশাপাশি রাখছে জিডিপিতে অবদান। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একসময় প্রাকৃতিক জলাশয়ের কারণে অধিক পরিমানে মাছ উৎপাদন হলেও বর্তমানে প্রাকৃতিক জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত মাছের পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ঈশ্বরগঞ্জ মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচী ও তরুণরা এগিয়ে আসার কারণে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৎস্য চাষ।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কারেন্ট জাল উদ্ধার ও মানুষের খাবার অনুপোযোগী মাছ বাজার থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। যার ফলে চাষী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে গত অর্থ বছরে ঈশ্বরগঞ্জে ১৮৯৩৪ মে.টন মৎস্য উৎপাদন হয়েছে বলে অফিসসূত্রে জানা যায়। উপজেলার ২১৮৯ হে. জমিতে ১০৯১৬ টি ছোট বড় পুকুরে রুই কাতল মৃগেল কালা বাউস বাটা সিলভার কাপ ঘাস কাপ শিং পাবদা গুলসা পাঙ্গাস তেলাপিয়া থাই/ ভিয়েতনামি কই চাষাবাদ হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার মরিচারচর এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি অস্থায়ী অভয়াশ্রম।
চাষকৃত মাছ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি হচ্ছে। মৎস্য চাষাবাদ ও মৎসের খাবার ব্যবসায় সম্প্রসারণের ফলে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এছাড়াও রেণু ও পোনা উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে যা দেশের অন্যান্য জায়গায় রপ্তানি হচ্ছে। উক্ত পেশা অধিক লাভজনক হওয়ায় আবদি জমি কেটে পুকুর তৈরি করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় ফসলের পাশাপাশি জমির মাটি কয়েক ফুট গর্ত করে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ এবং বোরো মৌসুমে ধানের ধানের আবাদ করছে কৃষক।
উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের মৎস্য চাষী আশরাফুল আলম (৩৪) বলেন, ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করলে মৎস্য চাষীরা মাছ উৎপাদন বাড়াতে আরো ভূমিকা রাখবে এবং এ পেশায় আরো তরুণরা আগ্রহী হবে।
মাছ চাষ বৃদ্ধি সম্পর্কে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএস এম সানোয়ার রাসেল জানান, দ্রুত বর্ধণশীল জাত মাছের প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণের কারণে তরুণ বেকারদের মধ্যে অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস